breaking

Tuesday 14 September 2021

“হানচু পামু হাফ” বাংলার গুপ্তসমিতির “সঞ্জীবনী”

হানচু পামু হাফ

না, এটা কোনো মন্ত্র বা জাপানি ভাষা নয়। প্রাক গান্ধী যুগে বাংলায় যে অসংখ্য গুপ্ত সমিতি গড়ে উঠেছিলো, তার পাইওনিয়ার ছিলো এই গুপ্ত সমিতি "হানচু পামু হাফ" বা "সঞ্জীবনী সভা"।
এই সাভার সঙ্গে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির ছিলো প্রতক্ষ্য সম্পর্ক।  সভাটি প্রথম ঠাকুর বাড়িতেই প্রতিষ্ঠা হয়, যার সভাপতি ছিলেন রাজনারায়ণ বসু। পরে তা কলকাতার ঠনঠনিয়া অঞ্চলের এক পোড়ো বাড়িতে চলে যায়। সাভার গোপনীয়তা রাখতে রবীন্দ্রনাথের দাদা জ্যোতিরিন্দ্র এক গোপন ভাষার আবিষ্কার করেন, যে ভাষায় সভাকে "হানচু পামু হাফ" ডাকা হত।
এই সভা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ তাঁর "জীবন স্মৃতি"তে লিখছেন--"জ্যোতি দাদার উদ্যোগী আমাদের একটি সভা হইয়াছিলো, বৃদ্ধ রাজনারায়ণ ছিলেন তাহার সভাপতি। ইহা স্বদেশীদের দল। কলকাতার এক পোড়ো বাড়ীতে সেই সভা বসিত। সাভার সকল অনুষ্ঠান রহস্যাবৃত ছিল।"
এই সাভার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল মন্ত্রগুপ্তি। সভায়, ব্রহ্মসমাজের গ্রন্থাগার থেকে লাল রেশমের কাপড়ে জড়ানো এক বেদমন্ত্রের পুঁথি আনা ছিল। টেবিলের দুপাশে দুটি মড়ার মাথা থাকতো, যার দুই চক্ষুগহ্বরে জ্বালানো থাকতো দুটি মোমবাতি।
না, কোনো তন্ত্র সাধনার জন্য নয়। বরং এর এক অন্তর্নিহিত অর্থ ছিলো। যেখানে মারার ছিল মৃত ভারতের সাংকেতিক চিহ্ন। আর বাতি দুটি জ্বালানোর অর্থ, ভারতে প্রাণসঞ্চার করতে হবে ও তার জ্ঞানচক্ষু ফুটাতে হবে, আর যার মাধ্যম হবে বেদমন্ত্র।।