breaking

Saturday, 1 May 2021

গরিব যাহা সৃষ্টি করে, ধনী তা লুন্ঠন করে

4 বৎসর পূর্বে ইউরোপের খ্যাতনামা ক্লাব পি এস ভি আইনভেনের বিরুদ্ধে ম্যাচ গ্যালারিতে এই পোস্টের সাজিয়েছিলেন তিউনিসিয়ার এক অনামা ক্লাবের সমর্থকদল।আদিতে শ্রমজীবী মানুষের খেলা ফুটবল এ- কালে যে ভাবে বড় ক্লাব তথা অতিকায় পুঁজির কুক্ষিগত হয়েছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই পোস্টার।

ইউরোপের সর্বাধিক নামকরা এবং ধনীতম বারোটি ক্লাব জোট বাঁধিয়া একটি লীগের পরিকল্পনা করে আছে। যেখানে তারা হবে স্থায়ী সদস্য অর্থাৎ তাদের যোগ্যতার নির্ণয় এবং যাচাই এর প্রয়োজন হবে না। সকল ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে এই ক্লাব গুলি, বিশ্বসেরা হোক বা চ্যাম্পিয়নস লিগ  ইপিএলের নেয় ইউরোপের সেরা টুর্নামেন্টগুলোতে সকলকে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হয়। এখানে অনিশ্চয়তা ও হারার আশঙ্কা থাকে বৃহদ ক্লাব গুলির ও, হঠাৎ বাদ পড়তে পারে বৃহৎ অর্থ ক্লাব কোন  গরীব ক্লাব এর কাছে। তাই বিপিএল ও চ্যাম্পিয়ন লীগ এর খেলায় লোকসান ও অনিশ্চয়তা থাকায় পুঁজিবাদী ক্লাব অর্থের জোরে নিশ্চিত মুনাফার স্বর্গ নির্মানের কৌশল নিয়েছে এই স্বতন্ত্র লীগ এর মাধ্যমে।
         কিন্তু ক্ষমতাবান দের সাধ মেটে নাই তাহাদের বাণিজ্যিক কৌশলের কথা প্রচারিত হওয়ার অল্পকালের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভ ফেটে পড়েছে। সেই বিদ্রোহে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ওই বারোটা ক্লাবের সমর্থক । থেকে সামান্য সমর্থক সব জায়গায় প্রতিবাদের ধ্বনি দেখা দেয় এবং ইহা বিস্ফোরণের আকার ধারন করে এবং তার অভিঘাতে ক্ষমতাবান ক্লাব কর্মকর্তারা নতুন পরিকল্পনা ও এতে কিছুটা পেছনে হইতে বাধ্য হয়েছে।

            
ফুটবল নামক সর্বার্থে বহুত্ববাদী ক্রীড়াটির রোমান্সের মূল্য আছে আচম্বিতে বিশমিত করিবার ক্ষমতা। বিশ্বকাপে ক্যামেরুন ও সেনেগালের নিকট বিশ্বসেরা আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের পরাজয় ফুটবল প্রেমীদের হৃদয়ে আজও অমলিন। ইউরোপীয় ফুটবল যেটুকু সমান অধিকার এখনো টিকে আছে, তা কেবল নৈতিকতার জন্য নয়। ফুটবল  দর্শকের মনোরঞ্জনে বেচে আছে, ধ্বনি সংগঠনের লাভের অঙ্ক নয়। খেলায় প্রতিযোগিতার অবারিত সুযোগ না থাকলে অনুপ্রেরণা হারিয়ে যায়, খেলাকে যদি রক্ত মাংশে জীবিত রাখতে হয় তবে তা হইলে সমৃদ্ধি দিতে হবে প্রতিটি উপকরণ কে - প্রেসিডেন্ট হইতে প্রশিক্ষক, সমর্থক হইতে ফুটবলের পরিবার। এইবার সেই সমগ্র সমাজে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে। ফুটবলের অস্তিত্ব সেই ভালোবাসাকে বেঁচে আছে, ইহাই ফুটবলের ধন।