breaking

Tuesday, 25 May 2021

কাল থেকে বন্ধ হয়ে যেতে পারে facebook-twitter...

সোশ্যাল মিডিয়া বলতে সবাই এক কথায় যা বোঝে ফেসবুক বা টুইটার, সবার দ্দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলি।তবে এই গুলো কাল থেকে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এরকমই আশঙ্কা করা যাচ্ছে।ভারত সরকার এই পদক্ষেপ নিতে পারে।


এরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে কেনো?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি Meity অর্থাৎ মিনিস্ট্রি ওফ ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি  মন্ত্রী রবি শংকর প্রাসাদ এবং I&B অর্থাৎ ইনফরমেশন এন্ড ব্রডকাস্টিং  মন্ত্রী প্রকাশ জাভেদকার  সম্মলিত ভাবে একটি নিয়মাবলী প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম  গুলির জন্য যাদের গ্রাহক সংখ্যা 50 লাখ এর বেশি। ৩ মাসের সময় সীমা দেও হয় এই নিয়াম্বলি গুলি কে কার্যকর করার জন্য। ২৫ শে মে এই তিন মাসের সময়সীমা সম্পূর্ণ হচ্ছে।

নিয়মাবলী কি?

 নিয়মাবলী অনুযায়ী প্রতিটি সংস্থাকে ৩জন অফিসার নিয়োগ করতে হবে যথা resident grievance officer, a chief compliance officer, and a nodal contact person.

এই তিনজনের কাজ থাকবে প্রতি মাসের শেষে একটি রিপোর্ট তৈরি করা এবং এই রিপোর্টটিকে সরকারের কাছে সাবমিট করা।

এখন কথা হলো কি নিয়ে রিপোর্টটি করবে?

আমরা প্রতিনিয়ত দেখে থাকি ফেসবুক বা টুইটারে নানারকম কুৎসা গালাগালি বা কাউকে অপমানিত করা  বা কারো সম্বন্ধে ভুল তথ্য রটানো এই ধরনের পোস্ট হয়। এই ধরনের পোস্ট হয়তো আমাদের চোখের সামনে প্রতিদিন এসে থাকে।
এখন কাউকে অপমানিত করলে সে যে অপমানিত করেছে তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে সেরকম কোনো হেল্প লাইন নাম্বার বা কন্টাক্ট থাকে না এই ফেসবুক বা টুইটারে তাই তাদের সে সমস্ত পোস্ট গুলিকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে অনেক অসুবিধা ফেস করতে হয়। এই তিনজন অফিসারের কাছে থাকবে এই গুলি নিয়ন্ত্রণ এর ক্ষমতা। যে সমস্ত অভিযোগ করা হবে তার রিপোর্ট তৈরি করা এবং কতগুলি অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে সমাধান করা হচ্ছে এবং যেগুলো করা হচ্ছে না তার কারণ কি এর উপরে রিপোর্ট তৈরি করতে হবে এবং সরকারকে সাবমিট করতে হবে।

কিন্তু তিন মাস কেটে গেলেও এরকম কোনো পদক্ষেপ কোন সংস্থার তরফ থেকে নিতে দেখা যায়নি, আবার অনেক সংস্থা তাদের এই সময়ে সীমাকে বৃদ্ধি করার দাবি জানাচ্ছে ,তিন মাস থেকে ছয় মাসে। তাদের যুক্তি অনুযায়ী তাদেরকে তাদের মেইন অফিস অর্থাৎ আমেরিকায় যোগাযোগ করতে হবে অফিসার নিয়োগ করার জন্য।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে " তিন মাসের মধ্যে ও যখন তারা এই কাজ করতে পারেনি, অজুহাত হিসেবে মেইন অফিসের যোগাযোগকে দেখাচ্ছে। সেখানে এটি নিতান্ত অবহেলায় চোখে দেখায়, তাই 26 তারিখের পরে যদি কোন প্রকার অপমানজনক অসম্মানজনক বা কুৎসা পোস্ট করা হয় তবে সে ক্ষেত্রে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে।"

কাল ২৬ তারিখ থেকে এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে সরকার কি পদক্ষেপ নেবে, নিয়মাবলী না মানোর জন্য, সরকার কি বন্ধ করে দেবে নাকি এই প্লাটফর্ম গুলির প্রস্তাব অনুযায়ী তাদেরকে আরও অতিরিক্ত তিন মাস সময় দেবে নিয়মাবলী সম্পন্ন করার জন্য। সেইটি সম্পূর্ণ সরকার এর  উপর নির্ভরশীল । 
এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসিটিকে তুলে নেওয়ার জন্য চিঠি লেখা হয়েছিল ফেসবুক সংস্থাকে, সেক্ষেত্রেও কোনরকম সদুত্তর মেলেনি এখন ফেসবুক জায়ান্ট তার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক এবং অঙ্গ কম্পানি হোয়াটসঅ্যাপ এর ব্যাবসা বাঁচাতে কি করে সেইটি দেখার অপেক্ষা।
ভারতে  ২ কোটি টুইটার গ্রাহক, প্রায় ৪১ কোটি ফেসবুক গ্রাহক, ৫৩ কোটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহক আছে ইনফরমেশন টেকনোলজি তথ্য অনুযায়ী।

তবে কু নামক টুইটার এর মত ভারতের মধ্যে অবস্থিত একটি সংস্থা আছে যারা শুধুমাত্র এই নিয়মাবলী গুলি পালন করেছে সময়সীমা অনুযায়ী। কু সংস্থাটি সম্পূর্ণ রূপে ভারতে তৈরি।