"5ই আগস্ট মহারাজা নন্দকুমারের ফাঁসি"
ব্রিটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারতে আগমন ঘটার পর তাদের শাসনতান্ত্রিক যে সমস্ত সংস্কার ঘটেছিল তার অন্যতম ১৭৭৪সালের ২২শে অক্টোবর কলকাতায় সুপ্রীম কোর্ট স্থাপন।
সূচনালগ্ন থেকেই সুপ্রীম কোর্টের বিতর্কের অবসান ছিলো না। কোম্পানির সাথে সুপ্রীম কোর্টের বনিমনা চলতেই থাকে।
প্রতিষ্ঠা হবার পরের বছরেই ১৭৭৫ সালে ৫ই আগস্ট আর্থিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে মহারাজা নন্দকুমারকে ফাঁসি দেওয়া হয়। নন্দকুমারের হত্যা এক তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করে।
তাঁর নাম কোনো এক কাগজে কৃত্রিম স্বাক্ষর করে আর্থিক তাছরুফের অভিযোগ এনেছিলেন কমলউদ্দীন নামক এক ব্যক্তি, আর সেই মর্মেই প্রথম বিচারপতি স্যার এলিজা ইম্পে তাঁর ফাঁসির আদেশ দেন।
কিন্তু ঘটনার সত্যতা ছিলো অন্য, রাজা নন্দকুমার হেস্টিংস এর বিরুদ্ধে কাউন্সিলে অভিযোগ এনেছিলেন যে তিনি মুর্শিদাবাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক নবাব নজমউদ্দৌলার রক্ষনাবেক্ষনের জন্য তাঁর মা মানিবেগম ও নন্দকুমারের পুত্র গুরুদাসকে অভিষিক্ত করার জন্য তিন লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। হেস্টিংস এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনায়, তিঁনি প্রতিশোধ নেবার জন্যই কমলউদ্দিনকে কোর্টে খাড়া করেন। আর এলিজা ইম্পেও ছিলেন হেস্টিংসের বন্ধু।
রাজা নন্দকুমারের ফাঁসি জনমানসে ক্ষোভের সঞ্চার করে।।